হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন। রায়ের পর এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘এ মামলাগুলোর রায় দেওয়া থেকে বোঝা যায়, সরকার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে দখল করে নিয়েছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা নেতাদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সরকার চেষ্টা করছে।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মির্জা ফখরুল। ছবি: আমাদের সময়
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমানুল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করছি এগুলো ফরমায়েশি রায়। এই ধরনের রায় দিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।’
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। তাদের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।’
বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্ত করব, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মাণ করা হবে।’
মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।