৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নগরীর হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরী আজাদকে হত্যার ঘটনায়। হত্যাকাণ্ড ঘটার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার জানান, এ মামলার কয়েকজন আসামি রাঙামাটি জেলার কোতয়ালী থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মো. আবুল হাসেমের ছেলে আসামি আবু তাহের রাজীব (২৩), মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. রায়হান সজীব (২২) কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যমতে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আবুল হাসেমের ছেলে আবুল হাসনাত রানা (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে এক যুবককে প্রস্রাব করতে নিষেধ করায় নৈশপ্রহরী আজাদ ও তার বড় ভাইয়ের সাথে দুই যুবকের বিতণ্ডা হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে ভোর সাড়ে ৪টায় তার মাশুল গুণতে হয় নিজের জীবন দিয়ে। ঘাতকের ছুরি এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয় প্রহরী আজাদের দেহ। নিহতের স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে আজাদ বলে যান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছে রাজু, ওসমান, ফয়সাল ও রাজীবসহ ৭/৮ জন। তার জবানবন্দির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী। নিহত আজাদের ভাতিজা পরিচয়দানকারী হুমায়ুন কবির বলেন, নয়াবাজার এলাকায় রাস্তার দোকান ও পার্কিং থেকে চঁদা তোলা নিয়ে রাজু নামে একজনের সঙ্গে আজাদের বিরোধ হয়েছিল। সেই বিরোধের জেরে আজাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। সবাই বলছে, শনিবার রাতের কথা কাটাকাটির জেরেই খুন। এ বিষয়ে হুমায়ুন আজাদীকে বলেন, ওটা একটা ইস্যু মাত্র।
নিহত আজাদের বড় ভাই মতিউর রহমান বলেন, আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে রাজু, রাজীব, ফয়সাল ও ওসমানসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, খুনি চক্র দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জুয়া ও মাদকের কারবার করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে।