ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছে।
কয়েক দিন আগে ইসিবির নিরাপত্তা পরিদর্শকরা বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যান। তারপর বিসিবির চিন্তা বাড়ে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’র এক প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের মাঠের বাইরের নিরাপত্তা নিয়ে খুশি নয় ইংল্যান্ড। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে হোটেল এবং হোটেল থেকে মাঠ পর্যন্ত যাওয়ার সময় শঙ্কা দেখছে তারা।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক, ওয়ানডে অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানসহ ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান ডিকাসন। সেখানে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসনও ছিলেন।
সভার পর স্ট্রাউস বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশে যাচ্ছি।’
খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিদর্শকদের এই বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন উঠে আসে। খেলোয়াড়রা পরিদর্শকদের কাছে প্রচুর প্রশ্ন করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ডিকাসন সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। এই ডিকাসন এক সময় নেলসন ম্যান্ডেলার নিরাপত্তা দলেরও প্রধান ছিলেন।
বৈঠকের পর সাবেক অধিনায়ক স্ট্রাউস জানান, খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টের নিরাপত্তা সব সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা ঝুঁকির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন পেয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও তাদের খুব ভালো ধারণা রয়েছে। নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে তাদের সবকিছুই বলা হয়েছে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছাবে ইংল্যান্ড দল। সফরে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ ও দুটি ওয়ানডে খেলবে তারা। প্রায় এক মাসের সফর শেষ হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে। প্রথম থেকে এই তারিখেই বাংলাদেশে আসার কথা ছিল দলটির। কিন্তু গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ সফর নিয়ে চারদিক থেকে নানা মন্তব্য আসতে থাকে। বিসিবি অবশ্য বরাবরই বলে আসছিল, ইংল্যান্ড নির্ধারিত সময়েই আসবে।
ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ ছাড়বে ২ নভেম্বর। এখান থেকে সরাসরি তারা চলে যাবে ভারতে। ৯ নভেম্বর থেকে কোহলিদের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি।