দুই দিনব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠক শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে । এই বৈঠকে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বৈঠকে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই তুলে ধরেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বৈঠকের প্রথম দিনে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে তিনি ব্যয় হিসেবে মনে করেন না।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশের রোল মডেল হয়ে উঠা এবং গত ৭ বছর জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস খাতে সরকারের বরাদ্দ দিয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশলটি দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতীয় বাজেটের প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বরাদ্দ করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশ পাঁচবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০৭ সালে যেখানে মৃত্যুর হার ছিল ৩.১০ সেখানে ২০২০ সালে কমে ০.২০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। দুর্যোগে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকটি আজ শুক্রবার শেষ হবে। এই বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।