হাততাবিন বসতির নিয়াং পিন থার গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনী দেশটির বাগো অঞ্চলের । শিশুসহ ১৯ জনকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে রেডিও ফ্রি এশিয়া প্রত্যক্ষদর্শী ও মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ছায়া সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মিয়ানমার বাহিনী গত বুধবার ১৯ জন বেসামরিক লোককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ৮ জন শিশু রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের দুইজন শিশু , সাত বছরের একজন, নয় বছর ও ১৫ বছরের শিশু। কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী লড়াই হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর। এরপরেই গত বুধবার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইরাবতি বলছে, ওই লড়াইয়ের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়াং পিন থার গ্রামে অভিযান শুরু করে। তারা সেই দিন যাকে পেয়েছে তাদের ওপরেই নির্যাতন চালায়।
ওই গ্রামের এক বাসিন্দা ইরাবতিকে বলেন, তার বোন, বোনের জামাই ও ভাগ্নিকে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে যাওয়ার কারণে তিনি এ হামলা থেকে বেঁচে যান।
তিনি আরও বলেন, তার প্রতিবেশী ইউ কিয়াও থেইনকেও হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। কো তোইয়ি এবং তার পরিবার এ সময় পাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কো জানান, আটককৃত মিয়ানমারা সেনারা জিজ্ঞাসাবাদ করে ও নির্যাতন চালায়। এরপর তাদের শিরশ্ছেদ ও পুড়িয়ে হত্যা করে।
গ্রামবাসীরা জানান, বেশ কিছু আটককারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ইরাবরি।
দেশটির সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর থেকে দেশটিতে সংঘর্ষের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।