দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র গতিপ্রকৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্তর্জাতিক নার্সিং দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে একথা বলেন তিনি।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, সমন্বিতভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা এবং উদ্ধার তৎপরতা নিশ্চিত করতে আগামীকাল শনিবার সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে থাকা ‘মোখা’র জন্য দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
এতে বলা হয়, এ ছাড়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিদ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।