চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা রাজধানী দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হ্যান্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিপুল পরিমাণ পেন্সিল ব্যাটারি ও তালা নিয়ে এসেছে। মিথ্যা ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে তিন কন্টেনারে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চট্টগ্রামের ফকিরহাটের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শামিম এন্টারপ্রাইজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। এআইআর শাখা চালানটিতে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানি হয়েছে এমন ধারণা থেকে চালানটি কায়িক পরীক্ষা ছাড়া লক করে রাখা হয় যাতে খালাস নিতে না পারে। পরবর্তীতে গত সোমবার কন্টেনার তিনটি এনসিটি ইয়ার্ডে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় প্রতি কন্টেনারে ২২টি কাঠের প্যালেটের ওপর ক্যালসিয়াম কার্বনেট (পাউডার) ভর্তি ২২টি বড় জাম্বু ব্যাগ পাওয়া যায়। ব্যাগগুলোর চারদিকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ছিল যাতে সন্দেহের উদ্রেক না হয়। পরে কর্মকর্তারা ব্যাগগুলো কেটে লুকানো কিছু কার্টন পান। তার ভেতরে বিভিন্ন সাইজের ১৭ লাখ পেন্সিল ব্যাটারি ও ১৮ টন তালা পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. সাইফুল হক জানান, চীন থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় আসা তিন কন্টেনারে ১৭ লাখ পিস পেন্সিল ব্যাটারি ও প্রায় ১৮ টন তালা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চালানটিতে প্রায় ৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল। কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।