চবিতে হলুদ দলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল) এর ‘ঈদ পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে চবি গ্রন্থাগার মিলনায়তনে সাড়ম্বরে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
চবি হলুদ দলের সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে ও প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ এর সঞ্চালনায় সোমবার (৮ মে) দুপুরে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহাম্মদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সরকার, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মুহাম্মদ রোমান, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম লিজা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রভাষক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন প্রমুখ।
রবীন্দ্র জয়ন্তীর এদিন (২৫ বৈশাখ) পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লক্ষ বীর বাঙালি, শহীদ জাতীয় চারনেতা ও ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বর্বর হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের বিনম্র চিত্তে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া-জননী-কন্যার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে নবীন-প্রবীণ শিক্ষকবৃন্দ পারস্পরিক পরিচয় পর্ব সম্পন্ন করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন ও প্রাণবন্ত পরিবেশে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে শিক্ষকবৃন্দকে স্ব স্ব দায়িত্বের প্রতি অধিকতর যত্নবান হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান ও লক্ষ্য অর্জনে তাঁদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সকল ধরণের বিভাজন ও ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতি ভুলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং প্রগতিশীল ও জাতির পিতার আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে দেশ-জাতির অব্যাহত অগ্রগতি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও স্বপ্নের ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদায় উন্নয়ন কামনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল।