তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি আবার জোরেশোরে উঠলেও এই আইনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই আইন দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। আর আমাদের এ আইন
আমেরিকার আইনের চেয়ে অনেক সহজ। আমেরিকায় ডিজিটাল অপরাধের জন্য ২০১৫ সালের আইনটি ২০২২ সালে সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এত কারাদণ্ড নাই। আমেরিকার আইনে ডিজিটাল অপরাধে যদি কারও মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অ্যামিবার আকার যেমন মাঝে মধ্যে বড় হয় আবার ছোট হয়, বিএনপির জোটও হচ্ছে সে রকম। অ্যামিবা যেমন নিজে ভাগ করে দুইটা হয়, আবার চারটা হয়, বিএনপির জোটও ঠিক সে রকম। দেখা গেলো, ২২ দলীয় জোট ছিলো, হলো ১২
দলীয় জোট আবার কয়দিন পরে শুনি তারা ৫৪ দলীয় জোট। এ জন্য তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে ডান–বাম, অতিডান–অতিবাম সবাই আছে। সবাইকে একত্রিত করে ঘোষণাপত্র দেওয়া তো কঠিন কাজ। বিএনপির মধ্যে আবার কয়েকটি ভাগ, চেয়ারপারসনের ধারা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের ধারা, মির্জা ফখরুল সাহেবের ধারা, সংস্কারপন্থীদের ধারা– সব ধারাকে এক করা, সেটাও কঠিন কাজ।’