বাংলাদেশের ‘গর্বের সেতু’ পদ্মার প্রায় ৯ মাস আগে পথচলা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যেই টোল আদায়ে হাসি চওড়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।
উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজার অনলাইন পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের বিষয়টিকে বাংলাদেশের লক্ষ্মীলাভ বলে অভিহিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৯ মাসে টোল আদায়ের পরিমাণ তুলে ধরেন। এদিন জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান তিনি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন থেকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। পদ্মা সেতু তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেতুতে যান চলাচলের শুরু থেকেই টোল আদায়ে বিপুল সাড়া পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রথম দিনই ‘স্বপ্নের সেতু’তে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সেতুর উপর দিয়ে বর্তমানে গাড়ি চলাচল করছে। তবে আগামী দিনে নীচ দিয়ে দৌড়বে ট্রেন। এর আগে, জানা গিয়েছিল যে, আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতুতে প্রথমে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে।
২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু করা হবে। সেতু উদ্বোধনের ১ বছর হওয়ার আগেই বিপুল পরিমাণে টোল আদায় হল দেশে। বাংলাদেশের সেতুমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হয়েছিল। সেই সময় থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ওই সেতু থেকে ৭ হাজার ৬৯৭ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। ২০০৮ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি চালু হয়েছিল মুক্তারপুর সেতু। সেই সময় থেকে গত মার্চ পর্যন্ত এই সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ২০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মাসেতু চালুর পরে গত মার্চ পর্যন্ত ছয়শ তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পরে গত মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তারপুর সেতু চালুর পরে এখন পর্যন্ত ২০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।