মাহবুব উল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সকল প্রকার কৌশলে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে রামপাল-সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে নামতে চাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন।
বুধবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনকে বেগবান করার বিষয়ে সাংবাদ সম্মেলনে দেয়া বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হানিফ বলেন, ‘সকল প্রকার কৌশলে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে রামপাল-সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে নামতে চাচ্ছেন তিনি। ভাবছেন এতে করে তারা জনগণের সুদৃষ্টি পাবেন। তার এই চিন্তা সবার মতো আমার কাছেও হাস্যকর মনে হয়েছে।হাস্যকর এই কারণে যে বিগত দিনে শুধু মানুষ নয়, গাছ, পশু-পাখিকে হত্যা করে ইতোমধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী নেত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তিনি। এই সময়ে তার মুখে এই কথা কমেডি ছাড়া আর কী!’
সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের বিষয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের মানুষের ক্ষতি হবে এমন কাজ আওয়ামী লীগ সরকার করতে পারেন না, করবে না। ইতোমধ্যে আমরা বিদ্যুৎ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত দিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই আবারো আমরা সকল প্রকার তথ্য নিয়ে হাজির হবো।’
ডুবন্ত মানুষের মতো খড় কুটোতে ভর করে বেঁচে থাকা যায় না।বেগম খালেদা জিয়া সেরকমই করছেন। কিন্তু মৃতপ্রায় রাজনীতি নিয়ে আর বেঁচে থাকা যাবেনা বলে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য এবং তার দলের নেতৃবৃন্দের দূরাবস্থার কথা চিন্তা করে তার কান্নার বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘বিগত সময়ে যখন আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হলো ২১ আগস্টে ভয়াবহ হামলা হলো তখন তো তার অনুভূতিতে আঘাত আসেনি। তার নেতা কর্মীরা বর্তমানে নানা ধরনের হামলা করে মানুষ হত্যা করে মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ ছদ্মবেশে রিকশা চালাচ্ছে তিনি বলছেন যখন হামলা করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছেন তখন তার অনুভূতিতে আঘাত আসলো না। সুতরাং এ কান্নার অর্থ সবার কাছে পরিষ্কার।’
খালেদা জিয়ার ভারত বিদ্বেষী মনোভাব বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তিনি তো আইএসআই’র সৃষ্টি। তাদের কথামতোই দল পরিচালনা করেন। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে অর্থহীন বক্তব্য দিবেন এটা তো স্বাভাবিক। সবচেয়ে হাস্যকর হলো সারাবছর ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে আবার সময়ে অসময়ে ভারতের অনুকম্পাও প্রার্থনা করেন, পদলেহন করেন। তাই আমার বক্তব্য হচ্ছে পাকিস্তানের চিন্তা বাস্তবায়নকারী একটি দল কী বললো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমাদের হাতে নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপসস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা দীপু মনি, আবদুর রাজ্জাক, হাছান মাহমুদ,আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, মৃণাল কান্তি দাশ,এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।