আজ রোববার মহান স্বাধীনতা দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে পায়রা বন্দর কতৃপক্ষের কাছে চ্যানেলটি হস্তান্তর করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান দে নুল (Jan De Nul)। যাত্রা শুরু করল দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা।
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় আজ থেকে সরাসরি মাদার ভেসেল বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারবে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল আহমেদ।
আজ পায়রা বন্দরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল অ্যান্ড মেইনটেনেন্স ড্রেজিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেজিংয়ের ফলে চ্যানেলটির গভীরতা সাড়ে দশ মিটারে উন্নীত হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম।
তিনি আরও জানান, আজ থেকে বড় মাদার ভ্যাসেল সহজেই বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চলতি মাসে বিদেশি সাতটি জাহাজ আসবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য নিয়ে সরাসরি পায়রা বন্দরের জেটিতে পণ্য খালাসের জন্য নোঙর করবে।
তিনি আর জানান, শুধু ড্রেজিংই নয় সমান তালে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়াবাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। জলপথে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নিকটবর্তী বন্দর হলো পায়রা। তাই পায়রা বন্দর হবে আগামীর বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট বন্দর হবে পায়রা। পায়রা থেকে একই সঙ্গে নদী, সড়ক, রেলপথে পণ্য পৌঁছাবে সারা দেশে।