ফুলপরী খাতুন নতুন হলে উঠেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার । আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৫০১ নম্বর কক্ষে উঠেছেন তিনি। ফুলপরীকে নতুন হলে উঠতে সহযোগিতা করেন বাবা আতাউর রহমান।
এর আগে গত ৫ মার্চ ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে হাইকোর্টের নির্দেশে তার পছন্দমতো বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসন বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সংযুক্ত ছিলেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে ফুলপরীর পছন্দ অনুযায়ী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসন বরাদ্দ দেয় প্রশাসন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফুলপরী খাতুন। এ বিষয়ে ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই ছাত্রলীগের সদস্য।
গত ৪ মার্চ অভিযুক্ত ৫ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও মুয়াবিয়া জাহান। তাদের মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও অন্যরা কর্মী ছিলেন। নির্যাতনের ঘটনায় এই ৫ জনকে গত ১ মার্চ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ, হাউস টিউটরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। হাইকোর্টের নির্দেশে ১ মার্চ হলটির প্রাধ্যক্ষ শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রাসিদুজ্জামান জানান, ফুলপরীকে হলে নিরাপত্তাসহ তার প্রাপ্য সকল সুবিধা দেওয়া হবে।