ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন পত্রিকার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি বলে মত দিয়েছেন । তিনি বলেন, দেশে অনলাইন পত্রিকা ব্যাপকভাবে বের হচ্ছে। তবে এর কোনো নীতিমালা নেই। সবাইকে একটা নীতিমালায় আসতে হবে।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহায়তা ও অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নিজেকে গণমাধ্যম পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার তৎকালীন পূর্ববঙ্গের প্রতিনিধি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে এ সম্পর্কে অনেক কথাই লিখেছেন। সেদিক থেকে আমিও গণমাধ্যম পরিবারেরই একজন সদস্য।
শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপনে আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ কাজ করেছে। আপনারা (সাংবাদিক) কেউ আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি। নিজ উদ্যোগে করেছি। এ বিষয়ে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। কেননা তিনি সংবাদপত্রে কাজ করতেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহায়তা ও অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যাতে অশ্লীলতা ছড়াতে না পারে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আশা করি খুব তাড়াতাড়ি অনলাইন পত্রিকার নীতিমালা করে ফেলবো।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়নে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই- আমাদের দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চা হোক। সমালোচনা গঠনমূলক হতে হবে, শিক্ষণীয় হতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
সাংবাদিক হত্যার বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচারের জন্যে সবার সহযোগিতা দরকার। এরইমধ্যে এক সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়েছে। অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রথমবারের মতো ১৯৬ জন দুস্থ, অসুস্থ, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিকদের পরিবারকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হলো।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কে এম রহমত উল্লাহ, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।