ভিক্টর পরিবহন বাসের চালক লিটন (৩৮) ও সহকারী মো. আবুল খায়ের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাদিয়া নিহত হওয়ার মামলায় ।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আল ইমরান রাজন আসামিদের আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি গ্রহণের আবেদন করেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি আদালত আসামিদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন রিমান্ড শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাই বিচারক আসামিদের কাছে জানতে চান তাদের কিছু বলার আছে কি না।
বিচারকের প্রশ্নের জবাবে চালক লিটন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় আমার পরিচিত এক ড্রাইভার আরিফকে গাড়িটি চালাতে দিয়েছিলাম। পড়ে শুনি এ ঘটনা ঘটেছে। আমার কোনো দোষ নাই। এ ঘটনা শোনার পর আমি আমার এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেই। সেখান থেকে আমাকে ধরে আনে। আমি ওই ড্রাইভারকে ধরার অনুরোধ করছি।’
চালকের সহকারী আবুল খায়ের বলেন, ‘আমাদের বাসটি দাঁড়ানো ছিল। মোটরসাইকেলের লোকটি হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল আর মহিলাকে কী জানি দেখাচ্ছিল। হাতছাড়া থাকার কারণে মোটরসাইকেলটি পড়ে যায়। পরে আমাদের গাড়ির পেছনের চাকায় ধাক্কা লাগে।’
গত ২২ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরণিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। এ ঘটনার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। নাদিয়ার মৃত্যুর পর ভাটারা থানায় নিরাপদ সড়ক আইনে মামলা করা হয়।