বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে ভারতে থাকা লেখিকা তসলিমা নাসরিন হাসপাতালের একজন চিকিৎসককে অন্ধবিশ্বাস করে শরীরটাই এখন অচল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ কথা জানান এই লেখিকা।
তসলিমা নাসরিন লেখেন, অন্ধবিশ্বাস জিনিসটা খুব খারাপ। ঈশ্বরে অন্ধবিশ্বাসের কারণে মানুষের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। সেটা জানতাম। চিকিৎসকের ওপর অন্ধবিশ্বাসের কারণেও যে জীবন কারও কারও ধ্বংস হয়, তা আমি আমার জীবন দিয়ে উপলব্ধি করলাম। আমার সচল শরীরকে এক বদমাশ চিকিৎসক অচল করে দিয়েছে। আয়ু কমিয়ে দিয়েছে। আনন্দ কমিয়ে দিয়েছে। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যে ভুল করেছি, সেই ভুল করার দুঃখ, যতদিন আমি বাঁচি, রয়ে যাবে।
এই দুঃসময়ে আমার একটিই চাওয়া, শরীর অচল হয়েছে, হোক; মাথা যেন সচল থাকে। মস্তিষ্কের কোষগুলো যেন সদা জাগ্রত থাকে।
Taslima Nasrin
অন্ধবিশ্বাস জিনিসটা খুব খারাপ। ঈশ্বরে অন্ধবিশ্বাসের কারণে মানুষের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। সেটা জানতাম। চিকিৎসকের ওপর অন্ধবিশ্বাসের কারণেও যে জীবন কারও কারও ধ্বংস হয় তা আমি আমার জীবন দিয়ে উপলব্ধি করলাম। আমার সচল শরীরকে এক চিকিৎসক অচল করে দিয়েছে। আয়ু কমিয়ে দিয়েছে। আনন্দ কমিয়ে দিয়েছে। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যে ভুল করেছি, সেই ভুল করার দুঃখ , যতদিন আমি বাঁচি, রয়ে যাবে।
এই দুঃসময়ে আমার একটিই চাওয়া, শরীর অচল হয়েছে, হোক; মাথা যেন সচল থাকে। মস্তিষ্কের কোষগুলো যেন সদা জাগ্রত থাকে।