প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প স্থগিত হলেও হতাশার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একটা সিদ্ধান্ত এসেছে, সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিয়েকশনের কিছু নেই।’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম হবে। এখানে (পরিকল্পনা মতো না হওয়ায়) হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাদের যে ইভিএম আছে তা দিয়ে ৫০,৪০,৩০ আসনে হবে? এ বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে তা যদি কার্যকর থাকে, আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব নির্বাচন করব। এ বিষয়টা এখনো নিশ্চিত নই। কত আসনে ইভিএমে ভোট করতে পারব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে আরও দুই লাখ ইভিএম কেনায় সরকার সায় দেয়নি। প্রকল্পটি স্থগিত হলেও তাতে হতাশ হইনি। সে সঙ্গে বিদ্যমান কার্যকর ইভিএম দিয়ে কত আসনে ইভিএমে ভোট করবে তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রজেক্ট স্থগিতে পরে কমিশনের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। ইভিএমের বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, হতাশার কিছু নেই। একটা সিদ্ধান্ত এসেছে, সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিয়েকশনের কিছু নেই।’
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, তাতে অর্ধেক সংসদীয় আসনে (১৫০টি) ইভিএমে ভোটগ্রহণের ভাবনা ছিল। সে লক্ষ্যে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে এ প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা কমিশন থেকে রোববার সিদ্ধান্ত পেয়েছি। এ মুহূর্তে প্রকল্পটি তারা প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে না। বাতিল হচ্ছে না, তবে এ মুহূর্তে হচ্ছে না।’