বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ধারাবাহিক হত্যার মধ্য দিয়ে সরকার ভীতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন, ‘এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভীত না; বরং সরকারের যেকোনো জুলুম নিজের বুক পেতে তারেক রহমানের সৈনিকরা প্রতিরোধ করবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রিজভী এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে এই বিক্ষোভ মিছিল করে।
advertisement
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার জনগণের অধিকারের আন্দোলনকে রক্তাক্ত করছে বন্দুকের নলের মুখে। ভোলায় আবদুর রহিম, নুরে আলমের হত্যার পরে মুন্সীগঞ্জে শাওন, নারায়ণগঞ্জে শাওন, যশোরে আলীম হত্যা-এর-ই ধারাবাহিকতায় ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ার বাঞ্জারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চায়, ভয় সৃষ্টি করা, ভীতির সৃষ্টি করা। কিন্তু জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশনায়ক তারেক রহমানের সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক এবং জিয়াউর রহমানের সৈনিকরা এতে বিচলিত নন। সরকারের যেকোনো জুলুম নিজের বুক পেতে প্রতিরোধ করবে।’
advertisement 4
সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলন ঠেকানোর ক্ষমতা সরকারের নেই। হত্যা হামলা মামলা নির্যাতন করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষের যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তা দমনের ক্ষমতা তাদের নেই। জনগণের দাবি একটাই তা হলো- এ সরকারের বিদায়; গণতন্ত্রের মুক্তি এবং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। ’
‘আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। ১০ তারিখে নয়াপল্টনে সমাবেশ হবেই হবে। কোনো বাধাই বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না’, যোগ করেন রিজভী।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এই সংক্ষিপ্ত পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন- ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামছুল ইসলাম, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমূখ।