প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছরই ভারত থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানি শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন। আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারির সঙ্গে গতকাল বৈঠকে তিনি এ আশাবাদ প্রকাশ করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন। সফররত দাইমারি সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গণভবনে যান। তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে চায়। আশা করছি, আগামী বছর তা শুরু করা যাবে। ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল রপ্তানি করা। করোনা মহামারী শুরুর পর বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত হাটগুলো পুনরায় চালুর কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ভারতের এই প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরা চট্টগ্রাম বিমান ও সমুদ্রবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া যোগাযোগ পথগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা কৃৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সফরে তাদের খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে আসামের জনগণ উপকৃত হবে। প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ জোরদারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায়। কারণ এ খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। বৈঠকে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।