সংস্থার কমিশনার মো. জহুরুল হকদুদক শুধু চুনোপুঁটিদের ধরে-এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন। তিনি বলেছেন, কী যেন বলেন, দুদক চুনোপুঁটি ধরে, কিন্তু কতগুলো রাঘব-বোয়াল ধরেছে,তা কি দেখেছেন কখনও? সেটা দেখেন, বিশ্ব রেকর্ড করার মতো রাঘব-বোয়াল ধরেছে এই দুদক। দুদকের অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার সেগুনবাগিচায় কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। সভায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং অন্য কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খানও ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে দুদকের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, আমরা আগাচ্ছি, সব খবর হয়ত আপনাদের কাছে যায় না, আপনারা প্রচারও করেন না। খবর বিডিনিউজের।
২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সব ধরনের অর্ধ পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা ছিল দুদকের; কিন্তু ২০১৬ সালে এ আইনের এক সংশোধনীর পর কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্যান্য অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা হারায় কমিশন। এ বিষয়টি উল্লেখ করে জহুরুল হক বলেন, সত্যি অর্থ পাচার হচ্ছে। অর্থ পাচারের ব্যাপারে পারসেপশন আছে।
আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু মানি লন্ডারিংয়ের ব্যাপারে আইন করে সব নিয়ে গেছে। এখন যেটা আছে একটা তফসিলভুক্ত, সেটা নিয়ে আমরা ফাইট করছি। এরপর তিনি বলতে থাকেন, আমাদের যে এচিভমেন্ট নেই, তা কিন্তু না। মানি লন্ডারিং নিয়ে দেখেন আমরা কী করেছি। সিঙ্গাপুর থেকে এই পর্যন্ত ২১ কোটি টাকার মুদ্রা এনেছি।