৫২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বের হতে পেরেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. ফরহাদ হোসেন তার কার্যালয়ে। আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করেন তিনি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তার সঙ্গে ছিলেন।
তৃতীয় শ্রেণির ২২ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে ভিসিকে তার কার্যালয়ে গত বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে অবরুদ্ধ করেন কর্মচারীরা। তারা ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে যান। তারা দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এই মিছিল উপাচার্যের কার্যালয়ে আসার পর সেখানে অবস্থান ধর্মঘটে থাকা কর্মচারীরা চলে যান। শিক্ষার্থীরা তালা খুলে ভিসির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা ভিসিকে বাইরে আসার অনুরোধ জানান। ওই সময় ভিসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাইরে না এলেও পরে দুপুরে ছাত্রদের সঙ্গে গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী নেতৃত্বদানকারী মাহমুদুল হাসান দুলাল বলেন, ‘অযৌক্তিক কিছু দাবি আদায়ের জন্য তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা ভিসি স্যারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
নামাজ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভিসি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি গর্বিত, আমি এমন কিছু সন্তান পেয়েছি, যারা সত্য, ন্যায় এবং বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। তোমাদের মতো সন্তানরা থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এ দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায় তারা থাকলে দেশ জাতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই এগিয়ে যাবে।’
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মবিরতি এখনও অব্যাহত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ভিসি কার্যালয়ের বাইরে যাওয়ায় আমরা কোনো বাঁধার সৃষ্টি করিনি। অবস্থান ধর্মঘট শুরুর পরেই ভিসিকে জানানো হয়েছিল সকালে হাঁটা বা বিশেষ কোনো প্রয়োজনে তিনি (ভিসি) কার্যালয়ের বাইরে যেতে পারবেন।’