নগরীর যেসব ওয়ার্ডে কোনো অভিযোগ নেই, সমস্যা নেই, সবতঃস্ফূর্তভাবে সম্মেলন করা যাবে, সেসব ওয়ার্ডে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (৩১ অক্টোবরের মধ্যে) সম্মেলনের স্থানসহ তারিখ মহানগর কার্যালয়ে জানানোর জন্য প্রত্যেক থানার সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে এই নির্দেশনা এসেছে। এছাড়া সভায় ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা, ৩২ নং আন্দরকিল্লা, ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী, ২৬ নং উত্তর হালিশহর, ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর এবং ১ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেইসব ওয়ার্ডের সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ থানা এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় দারুল ফজল মার্কেট দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম আসছেন। এই মুহূর্তে নেত্রীর জনসভা সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জনসভাকে কীভাবে সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় রূপ দেয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা। যেহেতু ওয়ার্ড পর্যায়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ড সম্মেলন করা না গেলেও এই সময়ের মধ্যে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা চাইলে মহানগরের সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারি। যেহেতু প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমিটি আছে সেখান থেকে কাউন্সিলর করে মহানগর সম্মেলন করে ফেলা যায়।
তিনি বলেন, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে। এই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। আমরা অভিন্ন লক্ষ্যে সামনের দিকে এগোতে চাই।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে যে সমস্ত ওয়ার্ডের মধ্যে কোনো প্রকার আপত্তি নেই, স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্মেলন করা যাবে, সেইসব ওয়ার্ডে সহসা সম্মেলন করব। ৪ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের সাথে সাথে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলনগুলো যাতে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবশ্যই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে সভায় অবহিত করেছে। সেই সকল ওয়ার্ডের সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ থানা এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আসছেন। তিনি চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন। এই লক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, হাজী জহুর আহমদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ সমশের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবায়রা নার্গিস খান, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, মো. শহিদুল আলম, আবুল মনছুর, নুরুল আবছার মিয়া, কামরুল হাসান বুলু, গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দিন খান, আহমদ ইলিয়াছ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোহব্বত আলী খান, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ খান, আবদুল লতিফ টিপু, হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও মোরশেদ আকতার চৌধুরী।