সরকার গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর এবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে যাচ্ছে ।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এক সভায় বক্তব্যে এই ইঙ্গিত দেন।
কোন পর্যায়ের বিদ্যুতের দাম কবে নাগাদ, কতটা দাম বাড়বে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
তবে এরপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানাবে।
এতে বলা হয়, “বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) এর বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার পরিবর্তনের প্রস্তাব/আবেদন সম্পর্কিত কমিশন আদেশ আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।”
দেশে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের দাম সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
জ্বালানি সঙ্কটের কারণে গত অগাস্টেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
চলতি বছরের শুরুতে ভর্তুকি তুলে দিয়ে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসির কাছে দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি। তাতে বর্তমান দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৮ পয়সা করার প্রস্তাব রয়েছে। তার উপরই বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানাবে বিইআরসি। তবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে সালমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দর বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীদের কাছে প্রস্তাব করে মতামত চাওয়া হয়েছে, সর্বোচ্চ কতটুকু দর বাড়ানো যায়। ব্যবসায়ীদের মতামত পর্যালোচনা করেই সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে।
আজ দুপুরে এফবিসিসিআই আয়োজিত যে আলোচনা সভায় সালমান একথা বলেন, সেই সভাও পড়েছিল বিদ্যুৎ বিভ্রাটে।
বেলা ১টা ২০ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন সালমান এফ রহমান। বক্তব্যের সাড়ে ৮ মিনিটে যখন তিনি বিদ্যুতের সমস্যা ও দাম বাড়ানেরা বিষয়ে কথা বলছিলেন তখনই এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে জেনারেটর চালিয়ে অনুষ্ঠানের বাকি অংশ পরিচালনা করা হয়।
সালমান রহমান বলেন, “গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ প্রডাকশনে (উৎপাদন) সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের জন্য ইউনিক (ব্যতিক্রম) না। পৃথিবীর অনেক দেশই এই সমস্যায় পড়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা সর্বোচ্চ কত দামে বিদ্যুৎ কিনতে পারবেন। আর সরকারও কতটা ছাড় দিয়ে বিদ্যুতে সাবসিডি (ভর্তুকি) দিতে পারবে, তা পর্যালোচনা করা হবে।”