জেলা পুলিশ প্রশাসন মাদক ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসায় লালমনিরহাটের ৭৫জন মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সীমান্তবর্র্তী মোগলহাট ইউনিয়নের হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী সমাবেশে ৭৫জন মাদক ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে একটি করে রজনিগন্ধার স্টিক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
এই ইউনিয়নটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় পুরো এলাকায়জুড়ে ছিল মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই মিলতো ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদ, এমনকি হেরোইনের মতো মরণ নেশাজাত দ্রব্য। এই ইউনিয়নের দুই থেকে তিন কিলোমিটার ভারতের ভেতরে রয়েছে ফেন্সিডিলের বিরাট কারখানা। সীমান্ত ঘেঁষা মোগলহাট ও আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে অরক্ষিত সীমান্ত। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় খুব সহজেই মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে এসব নেশাজাত দ্রব্য পাচার করে নিয়ে আসে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে পাইকারি দামে এসব মাদক দ্রব্য ক্রয় করে নিয়ে যায়। ফলে এখানে গড়ে উঠে মাদকের বড় সিন্ডিকেট এবং পাচার হতে থাকে মাদকের বড় বড় চালান। আর এজন্য এই এলাকার দেড় শতাধিক মানুষ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি লালমনিরহাটে এস এম রশিদুল হক পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে বিভিন্ন কৌশলে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযানে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৩০জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আর অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? অবশেষে মাদক ব্যবসায়ীরা ছুটে আসে সংশ্লিষ্ট মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের কাছে এবং প্রস্তাব দেন আত্মসমর্পনের। পরে ওই চেয়ারম্যান পুলিশ সুপার রশিদুল হক ও সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেন।
খোলা মাঠে আয়োজিত ওই সমাবেশে ৬৮জন পুরুষ ও সাতজন নারী মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সমাবেশে পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ওই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে একটি করে রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া মাদক ব্যবসা ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসার জন্য তাদের আটক না করে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মতিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাসির, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদ হোসেন প্রমুখ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |