সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামাড়া সাগর উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সংস্কারের দুই বছর না পেরোতেই ভাঙনের কবলে । দ্রুত সংস্কার করা না হলে এটি অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন বেড়িবাঁধটি সংস্কারে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শুরু হবে সংস্কার কাজ।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে বেড়িবাঁধটি সাগরে বিলীন হয়ে যায়। ১৪ বছর পর ২০২০ সালে ভাঙা ১৮০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার করে পাউবো। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বেড়িবাঁধের টেকসই সংস্কার হয়নি। ফলে দুই বছর না পেরোতেই এটি ফের ভাঙনের কবলে পড়েছে। বর্তমানে জোয়ারের সাথে ক্রমাগত ভাঙছে বেড়িবাঁধটি। সংস্কার কাজের মাধ্যমে ঠেকাতে না পারলে অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, ২০২০ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হুইজকিড ইন্টারন্যাশনাল ১৮০ মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শেষে তাদের বুঝিয়ে দেন। সেসময় বেড়িবাঁধের এ অংশটি সংস্কারে ব্যয় হয় ১৫ লাখ টাকা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভাঙনের কবলে পড়া ১৮০ মিটার বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে মাটি আটকে রাখতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। তবে ক্রমাগত আসা জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে তার অধিকাংশই সরে গেছে। বেড়িবাঁধের অধিকাংশ স্থানে জোয়ারের পানিতে মাটি সরে গিয়ে ছোট, বড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুবল জলদাস জানান, ভাঙা বেড়িবাঁধটি সংস্কারের আগে দিনে দুবার তাদের বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে ডুবে যেত। এভাবে টানা ১৪ বছর তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে ২০২০ সালে মেরামতের পর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটে। কিন্তু সংস্কারের দুই বছর না পেরোতেই বেড়িবাঁধটি ফের ভাঙনের কবলে পড়ায় আবারও দুর্ভোগের শঙ্কায় ভোগছেন। উপকূলীয় এলাকাবাসীর ভোগান্তি লাঘবে ভাঙা বেড়িবাঁধটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি। অপর বাসিন্দা রুহুল আমীন জানান, সংস্কারের আগে জোয়ারের পানিতে আশপাশের পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হতো। লবণাক্ত পানির কারণে চাষাবাদ ছাড়া পরিত্যক্ত পড়ে থাকতো শত শত একর জমি। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেড়িবাঁধটি সংস্কার হলে চাষাবাদে গতিশীলতা ফিরে আসার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল উপকূলীয় লোকজন। কিন্তু পুনরায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় আবারো আতঙ্কে ভুগছেন তারা। এটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এসএম তারেক বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারে সাত লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সহসাই সংস্কার কাজ শুরু হবে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031