আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় সাত বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন । তবে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ওমরা হজে রয়েছেন। এ কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও ৩০ কার্যদিসব সময় বাড়িয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ সময় মঞ্জুর করেন। আগামী ১৬ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত। এর আগে গত ২ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য্য দিনে ৪ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাতি শহর শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে যায়। সেখান থেকে দ্রুত টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আসে। এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার হয়নি।
ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি, মানিলন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ দমন আইনের ধারায় মামলা করা হয়। পরে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, রিজার্ভ চুরির সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ১৩ জনের গাফিলতি, অবহেলা ও দায় ছিল। রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিন পর জানতে পারলেও তা ২৪ দিন গোপন রাখে। ৩৩তম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একই বছরের ১৫ মার্চ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার।