খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স । এবার ২ মাস ২৯ দিন পর দান বাক্স খোলা হয়েছে। আটটি দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ১৫ বস্তা টাকা, বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
আজ শনিবার সকাল ৮টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।
এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার দানবাক্স থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। বর্তমানে টাকা গণনার কাজ চলছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা সুলতানা যূথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। এছাড়া পাগলা মসজিদের সদস্য, সিনিয়র সিটিজেনসহ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। সাধারণের বিশ্বাস, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে থাকেন।
মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়। বর্তমানে পাগলা মসজিদকে একটি অন্যতম আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ১২০ কোটি টাকায় একটি আধুনিক স্থাপত্যে ৩০ হাজার মুসুল্লি একসাথে নামাজ আদায়ের একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।