প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সাশ্রয়ী এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের খাদ্যশস্য আমদানি করা যাবে জানিয়ে । একই সঙ্গে দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পেট্রোল ও অকটেন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। গতকাল বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের চিত্র তুলে ধরে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। পাশাপাশি দেশ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে তাদের কথায় কান না দিয়ে দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনার প্রসঙ্গ তুলে রিজার্ভ কেন থাকে তার ব্যাখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো আপদকালীন সময়ে তিন মাসের খাদ্যশস্য কেনার মত বা আমদানি করার মত যেন অর্থটা আমাদের হাতে থাকে।
আমাদের এখন যে রিজার্ভ আছে তাতে ৩ মাস কেন ৬ মাস, ৯ মাসের খাবারও আমরা কিনে আনতে পারব। কিন্তু আমাদেরকে আবার সেই পদক্ষেপ নিতে হবে যে, খাদ্যশস্য যেন আমাদের কিনতে না হয়। আমরা যেন নিজেরা উৎপাদন করতে পারি। নিজেরা সাশ্রয়ী থাকি।
জ্বালানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দেখলাম একজন বললেন, আমাদের ডিজেল কিনতে হয় এটা ঠিক। কিন্তু অকটেন আর পেট্রোল কিন্তু আমাদের কিনতে হয় না। এটা আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি সেখান থেকে বাইপ্রডাক্ট হিসেবে আমরা কিন্তু এই পেট্রোল রিফাইন করে পেট্রোলও পাই, অকটেনও পাই। বরং আমাদের যতটুকু চাহিদা তার চেয়ে অনেক বেশি পেট্রোল এবং অকটেন কিন্তু আমাদের আছে। রিজার্ভ নিয়ে সমালোচনার পাল্টা সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন রিজার্ভ কত ছিল? ৩ বিলিয়নের কিছু উপরে, ৩.৮ এই রকমই ছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা যখন ২০০৯ এ সরকার গঠন করি, তত্ত্বাবধায়কের সময়ে কিছুটা বেড়েছিল যে কারণে মাত্র ৭ বিলিয়নের মত আমরা পেয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলাম।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে আমদানি বন্ধ থাকলেও পরে পরে আমদানি করতে গিয়ে এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রিজার্ভ খরচ করতে হয়েছে।
বিনা পয়সায় কোভিড টিকা প্রদান ও ভাইরাস পরীক্ষার পাশাপাশি বিমান পাঠিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে আনতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়েছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের সব আমদানি কিন্তু সমস্ত ক্যাপিটাল মেশিনারিজ। এটা মাথায় রাখতে হবে এ ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আনার পরে যে সমস্ত শিল্প গড়ে উঠবে, সেগুলো যখন প্রডাকশনে যাবে সেখানে কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ লাভবান হবে। এটা তো অনেক সহজ। এই খরচটা আমাদের করতেই হবে। দেশ নিয়ে যারা ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই যে একটা শ্রেণি আছে অনবরত মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তাদের…এই জ্ঞানীদের কথা শুনে মানে অজ্ঞান হয়ে বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এ কাজটা করতে হবে আমাদের এখন থেকে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে অনেক চক্রান্ত আছে। আমি বিশ্বাস করি যত চক্রান্তই করুক বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। আমরা যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, ইনশাল্লাহ আমরা এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু জ্ঞানী মানুষ আছে মাঝে মাঝে অনেক কথা বলে বেড়ায়। আসলে তারা কোনো খোঁজ রাখে কি না, খবর রাখে কি না জানিও না।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |