বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। সময়টা ২০১৯-এর নভেম্বরের শুরুর কথা। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে তখন ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছিল। আর ‘বুলবুল’রর কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়ে বহু পর্যটক। ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে আশ্রয়হীন ও ক্ষতির মুখোমুখি হন দেশের বহু মানুষ।
ঠিক সে সময় বঙ্গোপসাগরে শুটিং করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন, নাজিফা তুষি, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, রিজভি, নাসির, মাহমুদসহ অনেকেই। আর সেটি ছিল ‘হাওয়া’র শুটিং চলাকালীন ঘটনা। এবার সেই সিনেমার হাওয়াই বইছে দেশজুড়ে জোর গতিতে। তবে এবার আর দুঃখ বা কষ্টের নয়, বইছে আনন্দের ঝড়।
‘হাওয়া’ মূলত অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া মাঝি মাল্লা ও এক রহস্যময় বেদেনীর গল্প। যার পোস্টার আর গান প্রকাশের পর থেকেই দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। আর প্রায় মাস খানের ধরে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি। তাই বলা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল ক’দিনের আর ‘হাওয়া’ প্রায় মাসখানেক ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে দেশজুড়ে।
আর ‘হাওয়া’ নিয়ে নানা আয়োজনেও ব্যস্ত আছেন এর অভিনয় শিল্পী থেকে শুরু করে টিমের সবাই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রচারণা আর নানা অভিনব পন্থ্যায় এগিয়ে চলা- যেন প্রশংসা কুড়াচ্ছে শোবিজে।
অনেকেই বলছে, বাংলা সিনেমার জয়ধ্বনির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বর্তমান সিনেমাগুলোর মধ্য দিয়ে। ‘হাওয়া’র যে গানটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ শিরোনামের এই গানটি সংগীত করেছেন ইমন চৌধুরী। আর গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এরফান মৃধা শিপলু। যা এখন দেশব্যাপী ‘ভাইরাল’ গান হিসেবেও পরিচিতি।
এদিকে, মজার তথ্য হলো আগামীকাল মুক্তি পেতে যাওয়া ‘হাওয়া’ এক স্টার সিনেপ্লেক্সেই ২৬শো আর যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ১৩টি শো’র আয়োজন করা হয়েছে। যা পাল্টে দিয়েছে বিগত কয়েক বছর সিনেমা হলের দৃশ্যপট। আর শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মুখে মুখেও এখন ‘হাওয়া’র প্রশংসা।
মিস্ট্রি ড্রামা ঘরানার ‘হাওয়া’ মূলত এ কালের রূপকথা। সিনেমার প্রচলিত এ ফর্মটি পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পারবেন বলে জানাচ্ছে এর প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন। মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনি এবং সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন। আর আগামীকাল দেশের ২৪টি সিনেমা হলে এটি মুক্তি পাচ্ছে। চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্টির মানুষজন যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন।