দক্ষিণ কোরিয়া পরিকল্পনা করছে উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য গণমাধ্যমের উন্মুক্ত প্রচারের ওপর কয়েক দশক ধরে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার । আজ শনিবার ভয়েজ অব আমেরিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে বিদ্বেষ সত্ত্বেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে সমঝোতা বাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে এমন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
১৯৪৮ সালে ভাগ হওয়ার পর থেকে নিজেদের নাগরিকদের একে অপরের অঞ্চলে যেতে এবং ফোনালাপ করতে বা ইমেইল ও চিঠি বিনিময় করতে দেয় না দুই কোরিয়া। এ ছাড়াও তারা একে অপরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ এবং টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে রেখেছে।
গতকাল শুক্রবার নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের কাছে পাঠানো নীতিগত প্রতিবেদনে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় নতুন পরিকল্পনার কথা জানায়। তারা পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে, কোরিয়ার জাতীয় পরিচয় ফিরিয়ে আনতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা ভাবছেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে উত্তর কোরিয়াকে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করার জন্য তাদের টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাজধানী সিউলের কনকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিওন ইয়ং-সান বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রতিদান দেওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমের বিষয়বস্তুর প্রবাহ তার কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্বের জন্য ‘বড় হুমকি’ হয়ে দাঁড়াবে।