ব্যস্ততার মধ্যে কাটে রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদ সবার অনেক । সারাদিন মাংস কাটাকুটি বানানো, সেগুলো ঠিক মতো বণ্টন করা, সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হয়। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ তো আছেই। সব মিলিয়ে বেশ ধকল যায়। তার ওপর আবার সবার জন্য এদিন মজাদার খাবারও রান্না করতে হয়। এজন্য ঈদের দিনের প্রস্তুতি হিসেবে আগেভাগেই বাজার সেরে রাখা প্রয়োজন।
মাংস : কোরবানির ঈদ উদযাপনে মাংস কিনতে হবে? শুনতেই অবাক লাগলেই ঈদের দিনের জন্য অল্প করে হলেও মাংস কিনে রাখুন। সকালে খাসি, গরু বা মুরগির মাংসটা রান্না করতে পারেন। তাহলে পরিবারের সদস্যদেরও খাওয়াতে পারবেন, আবার বাড়িতে কেউ এলেও অ্যাপায়ন করতে পারবেন। এরপর সারাদিন কোরবানির মাংস নাড়াচাড়া করে রান্নার সময় না পেলেও চিন্তা থাকবে না।
সবজি, ফলমূল : কোরবানির ঈদ বলে শুধু মাংস খাবেন সেটা ঠিক নয়। এতে শরীর খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু সবজিও রাখতে পারেন ঈদের দিনের খাদ্যতালিকায়। এ ছাড়া ফলের সালাদও তৈরি করতে পারেন।
পোলাওয়ের চাল : ঈদের দিন পোলাও না খেলে কি চলে? আবার পায়েস, জর্দা তৈরিতেও পোলাওয়ের চাল লাগে। এজন্য আগেই হিসাব করে পোলাওয়ের চাল কিনে রাখুন।
তেল, মসলা, দুধ : ঈদের দিনে মিষ্টি খাবারের বিকল্প নেই। সেমাই, পায়েস তৈরির জন্য দুধ কিনে রাখুন। এ ছাড়া রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মসলা,তেল, টক দই সংরক্ষণ করুন।
পানীয় : ঈদের দিন ভারী খাওয়াদাওয়া হয়। এ কারণে হজমের জন্য কিছু পানীয়র ব্যবস্থা রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাজারে পাওয়া কোমল পানীয়র পরিবর্তে লাচ্ছি, বোরহানির ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়। তাহলে খাবার হজমে সুবিধা হবে।