হংকং পরিচালনায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি পরিচালনা করা হয়, তা পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। শুক্রবার হংকংয়ে অঞ্চলটির নতুন নেতা জন লির শপথ গ্রহণের পর এ কথা বলেন তিনি। বিবিসি গতকাল এ খবর দেয়।
১৯৯৭ সালের ১ জুলাই যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পায় চীন। শুক্রবার যুক্তরাজ্য থেকে চীনের কাছে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের ২৫তম বার্ষিকী। দিনটি সামনে রেখে বৃহস্পতিবারই হংকং সফরে যান শি জিনপিং। শুক্রবার অঞ্চলটির নেতা জন লির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
শি জিনপিং বলেন, হংকং শাসনের ক্ষেত্রে যে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে, তা বজায় থাকবে। ‘এ ধরনের ভালো ব্যবস্থাটি পাল্টানোর কোনো কারণ নেই। এটি দীর্ঘ মেয়াদে বজায় রাখতে হবে।’ বলেন শি। শপথ অনুষ্ঠানে শি জিনপিংসহ উপস্থিত সব কর্মকর্তা মুখে মাস্ক পরেছিলেন এবং একে অপর থেকে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেননি। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা নীতি’ বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এর আওতায় হস্তান্তরের ৫০ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটিতে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন, অবাধ ব্যক্তি অধিকার ও বিচারিক স্বাধীনতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছিল চীন।
তবে পশ্চিমা বিশ্ব ও চীনের সমালোচকেরা বলেন, ২০১৯ সালের বিক্ষোভের পর ২০২০ সালে হংকংয়ে বেইজিং আরোপিত কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের কারণে সে প্রতিশ্রুত স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন হয়েছে।
চীন ও হংকং কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, এ নিরাপত্তা আইনের কারণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে শহরটি সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে।
গতকাল শুক্রবার শি জিনপিং বলেছেন, নিরাপত্তা আইনটি শহরটির বাসিন্দাদের ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
২০১৭ সালের পর এটি শি জিনপিংয়ের প্রথম হংকং সফর। পাঁচ বছর আগে তার হংকং সফরের সময় হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছিল। ঐতিহাসিকভাবে ১ জুলাই দিনটিকে হংকংয়ের মানুষের কষ্ট প্রকাশের সুযোগ হিসেবে দেখা হয়।
এবার শি জিনপিংয়ের সফরকালে হংকংয়ে কোনো বিক্ষোভ হচ্ছে না। বিরোধী রাজনীতিবিদ ও গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের কারাগারে থাকা কিংবা স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যাওয়াকে এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।