গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮৭ জন রোগী শনাক্তের খবর জানিয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়ার মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিন দুই হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০১ জন। খবর বিডিনিউজের। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ২৬১ জন। গত এক দিনে ৩ জন কোভিড রোগী মারা গেছেন। তাদের নিয়ে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৪৫ জনে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৬৬ জন নতুন শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত গতকালের প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য জানায় বাসস। এর আগের দিনও ৯৩৭ নমুনা পরীক্ষায় কোভিডে আক্রান্ত চিহ্নিত হন ৬৬ জন। তবে সংক্রমণ হার ছিল ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর বারো ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গত সোমবার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে শহরের ৬১ ও তিন উপজেলার ৫ জন। উপজেলার ৫ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং পটিয়ায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৮ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৫১০ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৬৮ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন। বাংলাদেশ মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ে ঢুকেছে বলে মত জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আগেরদিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এখন শনাক্তের হার মহামারীতে গড় রোগী শনাক্তের চেয়ে বেশি। সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০০ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭ জন সেরে উঠলেন।