নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসের অন্যতম সামাজিক সংগঠন ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (বিবিএ) এর বনভোজন। গত ২০ আগস্ট শনিবার ব্রঙ্কসের ২০০ টিফফানি স্ট্রিটের বেরেট্রো পয়েন্ট পার্কে এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে বনভোজনের আনুষ্ঠানমালা। বনভোজনে মজাদার সব খাবার-দাবার ছাড়াও ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পার্কের বিশাল খোলা মাঠে খেলাধূলাসহ নানা আনন্দ আয়োজন। ছিল খেলাধূলায় অংশগ্রহণকারী এবং র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের আকষর্ণীয় পুরস্কারও।
সংগঠনটির সভাপতি এন ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন বনভোজনে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ থেকে নির্বাচিত এসেম্বলিম্যান লুইস সিপুলভেদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বনভোজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট আইনজীবী মো. এন মজুমদার মাস্টার অব ল।
ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি এন ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন ও বিশিষ্ট যুবনেতা জামাল হুসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা কমিউনিটি একটিভিস্ট আবদুর রহিম বাদশা, মামুনস টিউটোরিয়ালের প্রিন্সিপাল মূলধারার ম্যাথ টিচার শেখ আল মামুন, মামুনস টিউটোরিয়ালের ডাইরেক্টর ডা. নাহিদ খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি নজরুল হক, বাংলাদেশি আমেরিকান উইম্যান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রেক্সোনা মজুমদার ও সেক্রেটারি মাকসুদা আহমেদ, ব্রঙ্কস উইম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন, প্যাকসানের কর্ণধার কমিউনিটি একটিভিস্ট বখতিয়ার খোকন, কমিউনিটি একটিভিস্ট আবদুস সবুর, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বাছির খান, সঙ্গীত শিল্পী ন্যান্সী খান, স্টারর্লিং ফার্মেসির ম্যানেজার মো. আলী, বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আহবাব হোসেন চৌধুরী, আবদুর রউফ, টাঙ্গাইল জেলা এসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আক্তারুজ্জামান হ্যাপি, সামারুয়ার আলীসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এ বনভোজনে নিউইয়র্কে বসবাসরত বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোররা দিনভর পার্কের খোলা মাঠে খেলাধূলাসহ নানা আনন্দ উপভোগ করেন। মেতে ওঠেন বর্ণাঢ্য আয়োজনে। প্রবাসীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এই বনভোজন।