আদালত জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর ও হত্যার চেষ্টার মামলায় আইনজীবী ইয়াসিন জাহান নিশানের স্বামী সোহাগ উল ইসলাম রনির জামিন মঞ্জুর ও অপর তিন আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন, শরিফ, নাহিদ ও রাসেল।
এর আগে, শ্যামপুর থানার মামলায় চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের ওয়ারী জোনেল টিমের পুলিশ পরিদর্শক রোকনুজ্জামান খান।
রনির পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে অপর তিন আসামির পক্ষে জামিনের কোনো আবেদন ছিল না।
গত ৮ জুন রনি, তার শ্যালক ইয়াসিন আরাফাত ভুঁইয়া, শরিফ, নাহিদ ও রাসেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। ওই দিন ইয়াসিন জাহান নিশানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৪ জুন অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আরাফাত ভুঁইয়ার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলায় আরও ১৭ আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে।
মামলা থেকে জানা যায়,গত ৭ জুন জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।
এ সময় ওই এলাকার হকার ও ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা হামলা চালায়। ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক উৎপল চন্দ্র ও সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব।
৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।