সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন নিহতের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে । গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়থলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতুমং মারমা। তবে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন কেউ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতুুুমং মারমা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুর্গম এই পাড়াটিতে তিনটি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তারা সকলেই ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ‘কুকি চীন’ পার্টি তাদের ওপর হামলা করে এবং হামলায় তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা এবং ধনরা ত্রিপুরা।
বিলইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমিও খবরটি শুনেছি। কিন্তু এ ব্যপারে নিশ্চিত না। যেহেতু এলাকাটি অনেক দুর্গম এবং ওখানে যাতায়াত করতে হয় বান্দরবানের রুমা উপজেলা দিয়ে।
রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, হতাহতের ঘটনা শুনেছি। তবে সত্য মিথ্যা এখনো নিশ্চিত না।
এদিকে বিডিনিউজের খবরে বলা হয়, ‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামের একটি সংগঠনের ফেসবুকে তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিহতদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র সংগঠন জেএলএ-এর সদস্য বলে দাবি করা হয়।
স্থানীয় জেএসএস নেতা আতুমং মারমা সাংবাদিকদের বলন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ‘কুকি-চীন পার্টি’ নামের একটি নতুন সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীরা বড়থলি ইউনিয়নের সাইজান নতুন পাড়ায় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত হয়। বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ তাদের ফেইসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব পালনকারী হিসেবে দাবি করা এবং নিজেকে ‘লে. কর্নেল সলোমন’ হিসেবে পরিচয় দানকারী ওই ব্যক্তি ফেসবুকে বিবৃতিতে বলেন, কেএনএফ-এর স্পেশাল কমান্ডো ফোর্স হেড-হান্টার টিম সন্ত্রাসী জেএসএস’র সশস্ত্র বাহিনী জেএলএ-এর জাইজাম বেসমেন্ট ক্যাম্পে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। তবে আহত অবস্থায় ট্রেইনিসহ অন্যরা সবাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এতে জেএলএ বাহিনীর তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।