ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি সারাদেশের বিভিন্ন শহর ও জেলাতে গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে । তবে চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ দেখিয়ে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পিছিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তাই পণ্য বিক্রির সময়টা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই শুক্রবার (২৪ জুন) থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৬ জুন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে ডাল, তেল ও চিনি কিনতে পারবে। একজন কার্ডধারী প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও সয়াবিন তেল ১১০ টাকায় পাবেন। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এর আগে গত রমজানে ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য পেয়েছিল। সব মিলিয়ে সারা দেশে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে টিসিবির পণ্য পাবে ৩ লাখ ৬০০ পরিবার। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব পণ্য দেয়া হবে। গতকাল থেকে পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও বিনা নোটিশে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় অনেক ফ্যামিলি কার্ডধারী বিপাকে পড়ে যায়। এসময় অনেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলেরের অফিসে ভিড় করেন।
জানতে চাইলে টিসিবির পণ্য প্যাকেজিং ও বিতরণ কার্যক্রম মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা এখন পণ্য প্যাকেজিং শুরু করেছি। আগামী ২৬ জুন থেকে বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হবে।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে পণ্য প্যাকেজিংয়ের দায়িত্ব থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ শাখার উচ্চমান সহকারী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, কখন থেকে পণ্য বিক্রি হবে সেই বিষয়ে আমরা এখনো নির্দেশনা পাইনি। আমাদের পণ্য প্যাকেজিং চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে চিনি এসেছে ২৯৯ টন, তেল এসেছে ৯৮ হাজার ১০০ লিটার এবং আজ (গতকাল) বিকেলে ডাল পেয়েছি ২০ টন।
পণ্যের ঘাটতি আছে কিনা জানতে চাইলে টিসিবি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিক্রি কার্যক্রমটা তদারকি করছে জেলা প্রশাসন। আমরা কেবল চাহিদা মতো পণ্য সরবরাহ করছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পণ্য আছে। পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আজ (গতকাল) ফ্যামিলির কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রির কথা ছিল।আগামী ২৪ জুন থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে এবং ২৬ জুন থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমরা সেই কার্যক্রম চালাতে পারছি না।