বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নের নির্বাচন অনেকটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া। দিন শেষে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ৭টিতে, বিদ্রোহী ৩টি, স্বতন্ত্র (বিএনপি সমর্থিত) ২টি এবং জামায়াত ১টিতে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচিত ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মধ্যে ৭ জন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফলে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজয়ীরা হলেন- সরল ইউপিতে রশিদ আহমদ চৌধুরী (নৌকা), কালীপুর ইউপিতে আ ন ম শাহাদত আলম (নৌকা), বাহারছড়া ইউপিতে অধ্যাপক তাজুল ইসলাম (নৌকা), বৈলছড়িতে মো. কফিল উদ্দিন (নৌকা), শীলকুপ ইউপিতে কায়েশ সরোয়ার সুমন (নৌকা), খানখানাবাদ ইউপিতে জসীম উদ্দিন হায়দার (নৌকা) এবং আলহাজ্ব ইবনে আমিন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র বিজয়ীরা হলেন ছনুয়া ইউপিতে এম হারুনুর রশিদ, সাধনপুর ইউপিতে কে এম সালাহ উদ্দিন কামাল এবং পুঁইছড়ি ইউপিতে মো. তারেকুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত পুননির্বাচিত দুজন হলেন গণ্ডামারা ইউপিতে মো. লেয়াকত আলী এবং পুকুরিয়া ইউপিতে মো. আসহাব উদ্দিন। জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখেরখীল ইউপিতে মাওলানা মোরশেদুল ইসলাম ফারুকী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে সরল, বাহারছড়া, কালীপুর এবং বৈলছড়ি ইউনিয়নে। ছনুয়া, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, গণ্ডামারা, পুকুরিয়া, সাধনপুর ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। ছনুয়া ইউপিতে আলোচিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এম. হারুনুর রশিদ। এছাড়া সাধনপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কে এম সালাহ উদ্দিন কামাল এবং পুঁইছড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চুকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তারেকুর রহমান। এদিকে দুপুরের আগে বেশ কিছু কেন্দ্রে ধীরগতি ভোট গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও দায়িত্বরত প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা জানান, ইভিএমে ভোটারদের ভোট প্রদানে অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে কিছুটা সময় ক্ষেপণ হয়েছে। দিনব্যাপী ভোট গ্রহণকালে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত না হলেও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয় পুঁইছড়ির সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের বই মার্কার প্রার্থী কাকলী বড়ুয়ার স্বামী শিকাশ বড়ুয়া (৪০)। গণ্ডামারায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয় নৌকার সমর্থক আবদুল আউয়ালের দুই পুত্র আতাউল করিম (৩৮) ও মো. নোমান (৩০)। বাঁশখালীর প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত বৈলছড়ি এলাকায় অবস্থিত হামেদিয়া রহিমিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে দুই ইউপি সদস্য সমর্থকের মাঝে সংঘর্ষ হলে ৩/৪ জন আহত হয়। পরে পুলিশি অভিযানে অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে কেন্দ্রটি।
এদিকে গতকাল দুপুরে বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া এলাকার কেন্দ্রের ৫শ গজ দূর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় এলজি উদ্ধার করে বলে জানান বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন। অপরদিকে ছনুয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের পাশে ১টি এসবিএস অস্ত্র, ১৬টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প এবং ৮টি হেলমেট উদ্ধার করে র্যাব-৭ এর একটি দল।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সম্পাদন করতে পারে সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি এজন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কোনো অঘটন ছাড়া ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মতৎপরতার ফসল বলে ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |