নতুন করে সম্প্রতি পুরো বিশ্বে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রোগটির নতুন নাম দিতে যাচ্ছে। নাম ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ভাইরাস যে রোগ সৃষ্টি করে সে বিষয়ে অপবাদ না দিয়ে নাম দেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে গত সপ্তাহে লিখিত আহ্বান জানান ৩০ জন বিজ্ঞানী। এরপর এই উদ্যোগ নেয় ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক। এজন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধির অধীন আমি আগামী সপ্তাহে জরুরি কমিটির বৈঠক আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৈঠকে এই প্রাদুর্ভাব জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার আন্তর্জাতিক উদ্বেগের পর্যায়ে পড়ে কি না, তা পর্যালোচনা করা হবে।’
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে মাঙ্কিপক্স হয়। গুটি বসন্ত ঘরানার ভাইরাস এটি। অবশ্য এটি অনেক কম গুরুতর। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ মৃদু এবং সাধারণ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের নতুন নাম এইচএমপিএক্সভি রাখার প্রস্তাব করেছেন। তবে ডব্লিউএইচও এ নিয়ে কী ভাবছে, সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সপ্তাহে জরুরি বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে শরীরে অনেকটা জলবসন্তের মতো ফুসকুড়ি দেখা দেয়। কেউ রোগীর সংস্পর্শে এলে আক্রান্ত হতে পারেন। দৈহিক মিলনের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ানোর কথা আগে কখনো বলা হয়নি। তবে উপসর্গ দেখা দিলে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রায় ১ হাজার ৬০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে।তবে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া ৩২টি দেশে অবশ্য আক্রান্ত কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া দেশগুলোতে আক্রান্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।