আগামী অর্থবছর খুবই চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বব্যাপী চলমান স্ট্যাগফ্লেশনের (উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে যুগপৎ নিম্ন প্রবৃদ্ধি) কারণে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন। তাই সংকট মোকাবিলায় অর্থবছরের মাঝপথে আমাদের নীতি-কৌশল পরিবর্তন করতে হতে পারে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেটপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা, পলিসি অ্যানালিস্ট জিনিয়া শারমিন, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দীন এবং সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।
অধ্যাপক আতিউর বলেন, বাজেটের কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। ঢালাওভাবে সব কোম্পানির জন্য উৎসে কর বাড়ানো, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর কর বৃদ্ধি এবং পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার
সুযোগ রাখার যে প্রস্তাবগুলো বাজেটে আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া তিনি এ মুহূর্তে জরুরি নয়, এমন ব্যয় আরও সঙ্কুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাজেট আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দেন।
রবার্ট শুভ্র গুদা তার বক্তব্যে বলেন, নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবায় যা ব্যয় করেন তার দুই-তৃতীয়াংশ হয় মূলত ওষুধ কেনার জন্য। স্বাস্থ্য বাজেটের ওষুধ ও পচনশীল চিকিৎসাসামগ্রী উপখাতে বরাদ্দ মাত্র হাজার-বারোশো কোটি টাকা বাড়ালেই গ্রামাঞ্চলে মানুষের এ বাবদ ব্যয় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে।
জামাল উদ্দিন কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং এনবিআরের রাজস্ব আহরণের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। সমাপনী বক্তব্যে খন্দকার সাখাওয়াত আলী একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে নানামুখী টানাপড়েনের মধ্যে বাজেট প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া এমপিদের জন্য ডিউটি ফ্রি গাড়ির সুবিধা না দেওয়া, বিলাসবহুল গাড়ির ক্ষেত্রে জ্বালানির দাম পৃথক করা এবং পরোক্ষ করের তুলনায় প্রত্যক্ষ করের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।