বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্য গাউসুল আজম মারা গেছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে । আজ রোববার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৭ জনে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গাউসুল আজম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা গেছেন। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
গাউসুল আজমের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। তার বাবার নাম আজগর গাজী। তিনি চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আজ ভোরে ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম মারা গেলেন।
এর আগে গত বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।