দিনের পর দিন অনুমোদনহীন রাসায়নিক ফেলে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ ও সংরক্ষণের নীতিমালা মানা হয়নি। ছিল না তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা বেহাল; নবায়ন হয়নি পরিবেশ ছাড়পত্রও। উপরন্তু ডিপোর ১০ মিটারের মধ্যেই নিরাপত্তা প্রাচীর ছাড়াই স্থানীয়দের বসবাস। ভয়াবহ অগ্নিকা- এবং দানবীয় বিস্ফোরণে বিপুল প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পর চট্টগ্রামের সীতাকু-ের বিএম কনটেইনার ডিপোর সার্বিক অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম ঘাটতি ও পরতে পরতে এমন অব্যবস্থাপনার চিত্র এখন সামনে চলে আসছে।
এদিকে গতকাল সোমবার তৃতীয় দিনেও ডিপোয় আগুন জলতে দেখা গেছে। অগ্নিকা-ের ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময়েও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কয়েকটি কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় ডিপোর ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেনাবাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আশঙ্কা, ফের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই খুবই সতর্কতা ও সুপরিকল্পিতভাবে আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ শাখা) মনির হোসেন বলেন, ডিপোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। পানির কোনো উৎস নেই; অনেক দূর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে পানি আনতে হচ্ছে।
রাসায়নিক সংরক্ষণ নীতিমালা অনুসরণ করে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রাখা হয়নি। দুর্ঘটনা মোকাবিলায়ও কোনো প্রস্তুতি ছিল না ,সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন ।