বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ৫৮ ঘণ্টা পার হলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে । এখনো সেখানে বেশ কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার রাতে বৃহত্তর কুমিল্লা ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছু কনটেইনারের ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে। ফলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই।’
এদিকে, আজ সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি বড় ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। চারটি কেমিক্যালযুক্ত কনটেইনার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। তবে সেই কনটেইনারগুলো সরিয়ে নিলেও ফায়ার সার্ভিস বলছে, সেগুলো পরবর্তী সময়ে বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। মূল আগুন নিয়ন্ত্রণের পরে কেমিক্যালযুক্ত এই কনটেইনার নিয়ে কাজ করবে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ ইউনিট।
এ বিষয়ে আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘টানা ৪৮ ঘণ্টা আমরা কাজ করে চলেছি। এখন যে কনটেইনারগুলো জ্বলছে সেগুলোতে গার্মেন্টসপণ্য রয়েছে বলে নিভছে না। এ কারণে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আশা করছি, আজকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসবে। আগুন নিভে গেলে সেখানে সরাসরি প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। সেখানে যদি কোনো মরদেহ থেকে থাকে তা উদ্ধার করা হবে।’
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। এ ছাড়া দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।