ঢাকা : দমকল বাহিনীর কর্মীরা ভেতরে আটকা পড়া মোট ১৯ জনকে উদ্ধার করেছে। রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আগুন বিকালের দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিজাত এই শপিং মলের লেভেল-৬-এর একটি জুতার দোকানে সকাল ১১টার পর আগুন লাগে।এর পর আগুন পাশের কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।বিকাল পাঁচ টার পর ধোঁয়া বের হওয়াও কমে আসে।কী কারণে আগুন লাগে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, ছয়তলার সিলিং থেকে আগুন লেগেছে। আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বসুন্ধরার নিজস্ব দমকলকর্মী ।
আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। শেষ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শপিং মলটিতে যখন আগুন লাগে তখন ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম ছিল।যারা ছিল তারা ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন।কয়েকজনকে দমকলকর্মীরা উদ্ধার করতে পেরেছে।
ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘বারবার কেন বসুন্ধরায় আগুন লাগে তা খতিয়ে দেখা হবে। সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম নিয়ে এসেছি। ফায়ার সার্ভিস চাইলে সহযোগিতা নিতে পারে। হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে, প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা হবে।’
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বি. জে. আহম্মদ আলী খান বলেছেন, ‘আট থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করেছি আমরা। এখনও তিনজন লোক আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। প্রথমে ছয়টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ১০টি ইউনিট যোগ দিয়েছে। ছয়তলার সিলিংয়ে আগুন লেগেছে। ভেতরে ধোঁয়ার কারণে কাজ করা সমস্যা হচ্ছে।
লেভেল-৬ এ জুতার দোকানই বেশি। আগুনে চামড়া পুড়ে যাওয়ায় ধোঁয়া বের হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের টিউটি অফিসার মো আতাউর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও কয়েক দফায় আর প্রায় ২০টি ইউনিট যোগ দেয়। পরে বিকাল সাড়ে চার পর আগুন তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।। এর আগে ২০১২ সালে আরও একবার আগুন লাগে এই শপিং মলটিতে।আগুন লাগার পর শত শত ঔৎসুক মানুষ শপিং মলটির বাইরে ভিড় করেছে।
শপিং মলের বাইরে রায়হান নামের এক শপিং মলের এক দোকানকর্মী ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ভবনের ছয়তলায় একটি জুতার দোকানে আগুন লাগে। পরে সেখানকার কর্মকর্তারা সবাইকে নিরাপদে বের হতে সহায়তা করে।সম্ভবত ভেতরে কেউ আটকা পড়েনি।
শপিং মলের ৫ম তলায় জুয়েলারির দোকান। ৬ষ্ঠ তলায় মোবাইল, জুতা, ব্যাগ, ইলেক্ট্রিক পণ্যের দোকান।৭ম তলায় কয়েকটি ব্র্যান্ডের কাপড়ের দোকান ও জুতার দোকান রয়েছে। ৮ম তলায় ফুড কোর্ড ও সিনেপ্লেক্স অবস্থিত। আর নবম তলায় জেনারেটরের সরঞ্জাম। শপিং মলের বেজমেন্টে একটি সুপার শপ রয়েছে।