অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ এক কোটি টাকা এবং এক হাজার শুকনা ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে । আজ রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়ানক এ বিস্ফোরণ ঘটে। আজ রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল ডিপোতে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আটটি ইউনিট এবং পরবর্তী সময়ে আরও আটটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা বলেন, কনটেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।