দুই নেতার ওপর হামলাকারী দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের । জালাল ও ইমন নামে এ দু’জনকে ফতেপুর ও মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব–৭, চট্টগ্রাম গতকাল শুক্রবার সকালে জানায়, গত ৩১ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় এবং সাবেক নেতা রাশেদ হোসাইন মোটরসাইকেলযোগে হাটহাজারী থানাধীন ১১নং ফতেপুর মদনফকির মাজারের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের পাশে ওঁৎ পেতে থাকা জালাল, ইমন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন আসামি লোহার রড, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্টাম্প, লোহার চেইন, লাঠিসোঁঠাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র–শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং প্রদীপকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও রাশেদ হোসাইনকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রদীপের ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ৮ জন সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। র্যাব জানায়, ঘটনার পর হতে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব–৭ জড়িতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে খবর নিয়ে জানতে পারে এজাহারনামীয় ৪নং আসামি জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০) হাটহাজারী থানাধীন ফতেপুর এলাকায় ও ৬নং আসামি মো. ইমন (২৪) মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। ইমন হাটহাজারী বখতিয়ার ফকিরের বাড়ির মো. রফিকের পুত্র এবং জালাল হাটহাজারী বলিটিলা মো. ফরিদ আহাম্মদের পুত্র। গ্রেপ্তারের পর উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামিরা উল্লিখিত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।