সরকার ধানের ভরা মৌসুমেও চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশজুড়ে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় । ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। লাইসেন্স আইন অমান্য করে অতিরিক্ত চাল মজুদ ও বেশি দামে বিক্রির দায়ে অনেক আড়তকে করা হয়েছে জরিমানা। এছাড়া দুটি আড়ত সিলগালাও করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন অভিযানের প্রভাবে গত দুদিনের ব্যবধানে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চালের বাজারে এখন বেচাবিক্রি কমে গেছে।
গতকাল নগরীর দুই বৃহৎ চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই দিনের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের সরু চালের দাম বস্তায় সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কমে গেছে। এরমধ্যে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ এবং কটারিভোগ সিদ্ধ, স্বর্ণা সিদ্ধ, বেতি আতপ, পাইজাম আতপ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ আতপ, মোটা সিদ্ধ চাল অন্যতম। এসব চালের সিংহভাগ আসে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, মেহেরপুর এবং কিশোরগঞ্জের আশুগঞ্জ থেকে।
আড়তদাররা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ২০০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২৫০ টাকায়। এছাড়া মিনিকেট সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে ২ হাজার ৫০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ২০০ টাকা কমে ২ হাজার ৪০০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে গিয়ে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ বস্তা প্রতি ২০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা, পাইজাম আতপ ১৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে ২ হাজার ৩০০ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা এবং মোটা সিদ্ধ চাল ১০০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়।
জানতে চাইলে পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের অভিযানের জেরে চালের বাজার এখন নিম্নমুখী। উত্তরাঞ্চলের মোকামগুলো থেকে এতদিন আমাদের বলে আসছিল, মোকামে চালের সংকট তাই চাল পাঠাতে পারছে না। তবে এখন মিল মালিকদের সুর পরিবর্তন হয়েছে। এখন তারা স্বাভাবিক নিয়মে চাল পাঠাচ্ছে। তাই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ বলেন, চালের বাজারে স্থিতিশীলতা এখন প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। । আবার অন্যদিকে বাজারে বেচাবিক্রিও কমে গেছে।ফলে চালের দাম কমছে