বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে আসামির স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুজ্জামানকে । চলতি সপ্তাহে তৌহিদুজ্জামানকে বদলি করা হলেও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন আজ মঙ্গলবার।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই ওসিকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তদন্তে যা পাওয়া গেছে, সেগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ ওই ওসির ঘুষ নেওয়ার অডিও ফাঁসের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই দিন রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পরদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবদুল আউয়ালকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার (৪২) বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী বীথি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মাসুদ রানা, রুমেল হক, খলিলুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সুদের টাকা দিতে না পারায় গত বছরের ৬ মার্চ লালমনিরহাট থেকে হাসানকে মোটরসাইকেলে তুলে আনেন মাসুদ। তিনি হাসানকে নিজ বাসায় এক মাসের বেশি আটকে রেখেছিলেন।
সবশেষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সদ্য বদলি হওয়া ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। তার সঙ্গে আসামির দুই স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়। এক আসামির নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিলে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে ফোনালাপ হয়।অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়।