দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে । তবে তদন্ত কার্যক্রম শেষে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত ২৮ মে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবর এ চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বীকৃতি নবায়নসহ বিভিন্ন ধরণের অফিসের কাজে ঘুষ ও অবৈধ পারিতোষিক গ্রহনের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় কমিশন কর্র্র্র্তৃক তা পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।’

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা হলেন– শিক্ষাবোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক এ কে ফজলুল হক, উপ–কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হালিম, হিসাব শাখার একেএম ইকবাল হোসেন, সহকারী সচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, স্টেনোগ্রাফার নাছির উদ্দিন, স্কুল পরিদর্শক (সাবেক) মো. আবুল মনছুর ভূঁইয়া, সাবেক উপসচিব ফখরুল মাওলা, কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক, স্কুল পরিদর্শক (সাবেক) আবু তাহের, অডিট অফিসার মৃনাল চন্দ্র নাথ ও সহকারী সচিব সম্পাতা তালুকদার। দীর্ঘ সময় অনুসন্ধানের পর অবশেষে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানাল দুদক। অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষাবোর্ডের একটি চক্র তাদের বিরুদ্ধে বেনামি অভিযোগ দিয়েছিল। সামাজিকভাবে সম্মানহানি ও হয়রানি করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তবে তাদের এ অভিযোগ শেষ পর্যন্ত মিথ্যে ৫ম পৃষ্ঠার ৩য় কলাম

প্রমাণিত হয়েছে। এতে করে সত্যের জয় হয়েছে। একই সাথে মিথ্যে অভিযোগকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা। মিথ্যে অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তারা।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031