সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. রিয়াজ উদ্দিনকে আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা করার মাধ্যমে দুদকের করা এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
গতকাল বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রদীপ ও চুমকিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়। দুদক পিপি মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। চার্জ গঠন পরবর্তী মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের (দোষী কী নির্দোষ সে বিষয়ে আদালতকে বলবেন) পরীক্ষা করা হবে। এরপর যুক্তিতর্ক শুনানি এবং রায় ঘোষণার মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রমে ইতি টানা হবে।
দুদকের এ মামলায় শুরু থেকে পলাতক থেকে গত ২৩ মে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন। আদালত এ আবেদন নাকচ করে দিয়ে ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠায়। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়–২ এর উপ–সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ জুলাই তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।মামলাটির তদন্তও করেন তিনি।